গত কয়েক দশকের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছে না তারা। দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভও চলছে।
এবার নেপালের অর্থনীতিকেও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির সাথে তুলনা করা হচ্ছে। কারণ দেশটিরও বৈদেশির মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাড়ি, প্রসাধনী পণ্য, স্বর্ণসহ বিলাসী পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি কমিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে ব্যাংকে সুদহারও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন…
- বাংলাদেশ বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করবে নেপালে
- বাংলাদেশে জেএসসি সভায় ২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব নেপালের
সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির অবস্থা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে এখনই তুলনা করতে রাজি নয় দেশটির সরকার।
নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার বড় উৎস পর্যটন। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটক কমে গেছে। এছাড়া প্রবাসী নেপালিদের রেমিট্যান্সও কমে গেছে।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা নেপালের অর্থমন্ত্রী জনার্দন শর্মার। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় পর্যটক বাড়ছে। পাশাপাশি অনেক নেপালিদের দেশের বাইরে কাজ করতে যাওয়ার হার বেড়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও দ্য হিমালয়ান টাইমস
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।